বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে থাইল্যান্ড
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে
থাইল্যান্ড-এ সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর)
থাইল্যান্ড রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মিসেস ট্রিনুচ থিয়েনথংয়ের কার্যালয়ে এ সমঝোতা স্বাক্ষর
হয়।
সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে
থাইল্যান্ড রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মিসেস ট্রিনুচ থিয়েনথং বলেন, আমরা আশা করি, দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করতে পারব।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ
মুরশিদ কাজী নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিতভাবে থাইল্যান্ডে কর্মী পাঠানোর আশ্বাস দেন। তিনি শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট
থাই কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
থাইল্যান্ডের শ্রমমন্ত্রী
তার ঊর্ধ্বতন সহকর্মীদের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা এগিয়ে
নেয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন এবং থাইল্যান্ডের বর্তমান শ্রমিক ঘাটতি সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তা
তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
থাই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত
অনুষ্ঠিত আলোচনা সম্পর্কে থাই মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রেও এশিয়া-প্রশান্ত
মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য প্রধান গন্তব্য দেশগুলোর সর্বোত্তম অনুশীলন অনুসরণে বাংলাদেশের
আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রবাসী
কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পক্ষ থেকে থাইল্যান্ডের শ্রমমন্ত্রীকে
সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত কাজী।
উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক
ধরে থাইল্যান্ডের শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চললেও
সম্প্রতি দেশটির সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র সংঘাতের জেরে বিপুল সংখ্যক কম্বোডিয়ান শ্রমিক
ফিরে যাওয়ায় বিষয়টি নতুন করে গতি পেয়েছে।