তারেক রহমানের আগমনে আশার আলো দেখছেন বাঁধন
জুলাই আন্দোলনে পরিচিত মুখ অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এ আন্দোলনে অত্যন্ত
সরব ছিলেন অভিনেত্রী। এরপর নানা কটূক্তিও শুনতে হয়েছে তাকে। এমনকি সহকর্মীদের কাছ থেকেও
নেতিবাচক মন্তব্য শুনেছেন তিনি। আবার আন্দোলনের পর দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে
কখনো কখনো হতাশাও প্রকাশ করেছেন বাঁধন। তবে আবার আশাবাদী হওয়ার কথা প্রকাশ করলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই
অভিনেত্রী।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে
বাঁধন লেখেন, গত কয়েক দিন শুটিং, ভ্রমণ, কাজের পরিকল্পনা ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় কেটেছে।
সবকিছুর জন্যই তিনি কৃতজ্ঞ। বর্তমানে এমন সব প্রজেক্টে কাজ করছেন, যা তাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত
করে। গত বছর তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে একটি এরই মধ্যে রটারডাম আন্তর্জাতিক
চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যটি আরও বড় কোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাবে
বলেও তার বিশ্বাস। এগুলো কোনো ভাগ্যের ফল নয়, বরং বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা
ও সততার অর্জন-এমনটাই উল্লেখ করেন তিনি।
পোস্টে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন,
দেশ শোক, অবিচার ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে-এ কথা সবারই জানা। তবে সেই বেদনার মাঝেই
তারেক রহমান ও তার পরিবারের প্রত্যাবর্তনে তিনি নতুন আশার আলো দেখছেন। নিজের স্ত্রী
ও কন্যার প্রতি দেখানো সম্মান, বিশেষ আসনের পরিবর্তে সাধারণ প্লাস্টিক চেয়ারে বসা এবং
এমনকি তাদের পোষা বিড়ালের প্রতিও মমতা-এসব বিষয় তার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন
বাঁধন। তার মতে, দয়া ও নেতৃত্বের চর্চা ঘর থেকেই শুরু হয়।
সবশেষে বাঁধন লেখেন, বিষয়গুলো দেখতে ছোট মনে হলেও রাজনীতিতে এর গুরুত্ব
অনেক। এগুলো ইঙ্গিত দেয় ক্ষমতা কেবল বিশেষ সুবিধার জন্য নাকি মানুষের সেবার জন্য। দেশের
নেতারা প্রমাণ করবেন যে জবাবদিহি ও সহমর্মিতা শুধু শব্দ নয়। দেশের জন্য এমন নেতৃত্ব
প্রয়োজন, যারা শাসন নয়, সেবা করবেন। জীবন অত্যন্ত মূল্যবান-এটি রক্ষা করা জরুরি। এই
মুহূর্তে তিনি আশা, দায়িত্বশীলতা ও শক্তিকেই বেছে নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।