মাদকবিরোধী সচেতনতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্রিয় হচ্ছে কমিটি: নির্দেশনা মাউশির

মাদকের ভয়াবহতা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যেই দেশের সব স্কুল, কলেজ ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে গঠিত মাদকবিরোধী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সম্প্রতি মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটিগুলোর কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে। এসব কমিটি যেন কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থাকে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির কাজের পরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, অভিভাবক ও স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা এবং নিয়মিত প্রচারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এতে সভা, সেমিনার, শ্রেণি আলোচনার পাশাপাশি পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার বিতরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মাদকসংক্রান্ত সমস্যা বা সন্দেহ হলে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তাও দেবেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত তদারকি ও সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সফলতার অভিজ্ঞতা থেকে তা দেশজুড়ে সম্প্রসারিত হয়।
এবং অন্য শিক্ষকদেরও এই কাজে উদ্বুদ্ধ করবেন।