আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত এনসিপি'র নেত্রী পুলিশের হেফাজতে

সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করার অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা দিলশাদ আফরিন। গত ৮ এপ্রিল সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। তবে, বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জানাজানি হয়।
বহিষ্কৃত দিলশাদ আফরিন সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে আহতদের কাছ থেকে টাকা দাবির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
বহিষ্কারের চিঠিতে তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা ও আদর্শের পরিপন্থী’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, “জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার (দিলশাদ) সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে, আপনাকে সংগঠনের আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুরোধক্রমে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
এ বিষয়ে সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, “দিলশাদ আফরিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিস্কার করে। আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যান সেলের দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। এই বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিলো না।”
সংগঠনের কেন্দ্রীয় আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “হতাহতদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করে জুলাই ফাউন্ডেশন। কিন্তু দিলশাদ তাদের সরকারি অনুদানের টাকা দ্রুত ব্যবস্থা করে দেবেন বলে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছেন। এমনকি একজন ‘গ’ ক্যাটাগরির আহতকে ‘ক’ ক্যাটাগরিতেও উন্নিত করার চেষ্টা উনি করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে জুলাই ফাউন্ডেশন তদন্ত করে প্রমাণও পেয়েছে।”
তবে, এসব অভিযোগের বিষয়ে বহিষ্কৃত দিলশাদ আফরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নাগরিক কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, দিলশাদ আফরিনের প্রতারণার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রমাণ পেয়ে জুলাই ফাউন্ডেশনের লোকজন তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি এখন রাজধানীর রমনা থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
বহিষ্কারের চিঠিতে তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা ও আদর্শের পরিপন্থী’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, “জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার (দিলশাদ) সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে, আপনাকে সংগঠনের আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুরোধক্রমে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
এ বিষয়ে সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, “দিলশাদ আফরিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিস্কার করে। আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যান সেলের দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। এই বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিলো না।”
সংগঠনের কেন্দ্রীয় আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “হতাহতদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করে জুলাই ফাউন্ডেশন। কিন্তু দিলশাদ তাদের সরকারি অনুদানের টাকা দ্রুত ব্যবস্থা করে দেবেন বলে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছেন। এমনকি একজন ‘গ’ ক্যাটাগরির আহতকে ‘ক’ ক্যাটাগরিতেও উন্নিত করার চেষ্টা উনি করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে জুলাই ফাউন্ডেশন তদন্ত করে প্রমাণও পেয়েছে।”
তবে, এসব অভিযোগের বিষয়ে বহিষ্কৃত দিলশাদ আফরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নাগরিক কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, দিলশাদ আফরিনের প্রতারণার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রমাণ পেয়ে জুলাই ফাউন্ডেশনের লোকজন তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি এখন রাজধানীর রমনা থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।