পোস্টার লাগানোর সময় সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ আহত ৫

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাঢ়ীর হাট ও রাঢ়ী বাড়িতে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, রাতে তারা একই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার লাগানোর জন্য রাঢ়ীর হাটে যান। এ সময় কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাসেল রাঢ়ী এবং তার ভাই যুবলীগ নেতা রহমত রাঢ়ীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে রাসেলের ভাই রফিকুল ইসলাম রাঢ়ী পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তারা সবাই ঢাকায় থাকেন। ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তার দুই ভাইকে ধরে নেয়ার জন্য একই এলাকার ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন লোক বাজারে এসেছিল। তাদের ধরে নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রায় দেড় শতাধিক লোক তাদের বাড়িতে হামলা করে এবং তাদের একটি খাবার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে হামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে রাসেল রাঢ়ীর লোকজন নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি তরিকুল ইসলাম সুমনের।
কিন্তু উভয় পক্ষই স্বীকার করেছে, অজ্ঞাত একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকায় অবস্থানরত উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। পোস্টার লাগানোর সময় তারা সামনাসামনি হওয়ায় পুনরায় তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পিরোজপুর জেলা ও কাউখালী উপজেলা বিএনপির নেতারা।
পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তবে কাঠের ঘরে কীভাবে আগুন লেগেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।