সেন্টমার্টিনে অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণ মামলায় বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র আদালতে গৃহিত, গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধ ভাবে স্থাপনা নিমার্ণ অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের তদন্তকারির দাখিল করা ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্রটি (চার্জশিট) গ্রহণ করেছে কক্সবাজারের পরিবেশ আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গত ১৩ মার্চ দাখিল করা অভিযোগ পত্রটির উপর অনুষ্ঠিত শুনানী শেষে কক্সবাজার পরিবেশ আদালতের বিশেষ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ অভিযোগপত্রটি গৃহিত হিসেবে আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১০ টি স্থাপনার মালিক ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন বিচারক। যেখানে কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিও রয়েছেন। সেন্টমার্টিনের সানরাইজ রিসোর্টের মালিক হিসেবে তাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস করে আবাসিক হোটেল নির্মাণ করে পরিচালনার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ১০ হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত এ মামলার এজাহারে বলা হয়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস ছাড়াও বিচ থেকে বালু উত্তোলন করে নিচ জমি ভরাট করা, সরকারি জমি দখল এবং অবৈধভাবে আবাসিক হোটেল/রিসোর্ট নির্মাণ ও পরিচালনা করে পরিবেশ এবং প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করা হয়েছে। পরে মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুস সালাম এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও আরও ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে গত ১৩ মার্চ আদালতে জমা হওয়ার পর শুনানির জন্য ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছিল।
যাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সানরাইজ রিসোর্টের মালিক আব্দুর রহমান বদি, বাংলা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মো. ইসহাক, ফ্যান্টাসি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী আবু জাফর প্রিন্স, সি প্রবাল বিচ রিসোর্টের মালিক আব্দুর রহমান, তাঁর ভাই আব্দুল মালেক ও আব্দুর রহিম; লাবিবা আটলান্টিক রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইনচার্জ আমজাদ হোসেন ও ব্যবস্থাপক সুলাইমান চৌধুরী, সানরাইজ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মো. ইসহাক, রয়েল বিচ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন, রূপসী বাংলা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী আবুবকর ছিদ্দিক ও পরিচালক নিজাম উদ্দিন সুমন, নিঝুমবাড়ি রিসোর্টের মালিক হেলাল উদ্দিন ও তাঁর ভাই সরোয়ার উদ্দিন ভুট্টো; ব্লু রেইন রিসোর্টের মালিক ফেরদৌস আহমেদ তুষার, মোস্তাক আহম্মদ ও আবু সাদাত লাভলু এবং ড্রিমারস প্যারাডাইস রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ।