রেলওয়ে হাসপাতাল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে : উপদেষ্টা ফাওজুল

দেশজুড়ে রেলওয়ে পরিচালিত হাসপাতালগুলো এবার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সিভিল সার্জনদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি এই হাসপাতালগুলো পরিচালনা করবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির (এমওইউ) মাধ্যমে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় জনবল এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উপদেষ্টা জানান, খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তির আওতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসকদের রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে পদায়ন করা হবে, যার মাধ্যমে সরকারের হাসপাতাল অবকাঠামোর বৃহত্তর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। তিনি হাসপাতালগুলোর জরুরি প্রয়োজন মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।
রেলওয়ে সূত্রমতে, রেলওয়ের অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, পাকশী, লালমনিরহাট এবং সৈয়দপুরে হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৪টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৬টি হাসপাতাল রয়েছে। এই হাসপাতালগুলোতে মোট ২৭০টি শয্যা থাকলেও, বেশিরভাগ সময়ই সেগুলো রোগীশূন্য থাকে।
সরকার রেলওয়েকে আধুনিক ও সংকটমুক্ত পরিষেবা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে উল্লেখ করে ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলওয়ের ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানাগুলোকে ওয়ার্কশপে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে ইঞ্জিন ও কোচের যন্ত্রাংশ এনে দেশেই সংযোজন করা সম্ভব হবে, যা সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে। বর্তমানে সম্পূর্ণ ইঞ্জিন ও কোচ তৈরি করে আনতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ।
চট্টগ্রাম সফরের সময় উপদেষ্টা পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ, ডিজেল ও ক্যারেজ শপ, রেলওয়ে জাদুঘর, ঐতিহাসিক ইউরোপিয়ান ক্লাব এবং রেল পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।