স্থগিত জকসু: নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন (জকসু) স্থগিত করা হয়েছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ সভা ৯টায় শেষ হয়। এরপর ভোট স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল অদম্য জবিয়ান ঐক্য।
অন্যদিকে জকসু নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বের) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিভিন্ন প্যানেল। সেখানে পরে জমায়েত হয় শিক্ষার্থীরা।
পরে পৌনে ১০টার দিকে উপাচার্য ভবনের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েক ভিপি প্রার্থী।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে যোগ দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। কয়েকজন স্বতন্ত্র
এছাড়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসিনা রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, এত বছর পর একটা দীর্ঘ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এ নির্বাচন স্থগিত করেছে। আমরা সেটা কখনো মানবো না।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য কানিজ ফাতেমা কাকলী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত দ্বারা পরিচালিত। যেহেতু সিন্ডিকেটে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে জকসু নির্বাচন আপাতত স্থগিত।
ভোট কখন বা কবে হতে পারে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন পুনরায় ভোট শুরু করতে হলে আরেকটি সিন্ডিকেট সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। এর আগে ভোর ৬টায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয়।
২০০৫ সালে কলেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এ ছাত্র সংসদ সম্পর্কিত কোনো ধারা না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর একবারও জকসু নির্বাচন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহুবার নির্বাচন দাবি করলেও আইনি জটিলতার কারণে তা আয়োজন করা যায়নি। শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ২৮ অক্টোবর জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।