রাবি মাদার বখ্স হলে ডা. রোকেয়া আবসার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মাদার বখশ হলে ডা. রোকেয়া আবসার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার (২০ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান এবং ডা. রোকেয়া আবসার-এর ভাগিনা ও মরহুম মাদার বখশ-এর পৌত্র জনাব কাজী হা-মিম সালেহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শাহ্ হোসাইন আহমদ মেহদী।
এই বৃত্তি পাওয়া তিন মেধাবী শিক্ষার্থী হলেন—ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. রাকিবুল হাসান রাফি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পরাগ দাস এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ। তাদের প্রত্যেককে ১২,০০০/- (বারো হাজার) টাকা এককালীন চেক এবং সনদ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এই শিক্ষাবৃত্তি শুধুমাত্র মাদার বখশ হলেই সীমাবদ্ধ না রেখে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। এটি শুধু আর্থিক সহযোগিতা নয়, বরং সম্মান ও অনুপ্রেরণার প্রতীক।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদার বখশ-এর পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।
শিক্ষা উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ের এমন শিক্ষাবৃত্তি দেশের কল্যাণে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে।
ডা. রোকেয়া আবসার-এর ভাগিনা কাজী হা-মিম সালেহ জানান, আগামী বছর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্যও পৃথক শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, ২০১২ সালে চালু হওয়া এই শিক্ষাবৃত্তি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এখন থেকে নিয়মিত প্রদান করা হবে। তিনিঅনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. শাহ মোস্তার আহমদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. ছালেকুজ্জামান খান।