দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে আজ

দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। রবিবার (১২ এপ্রিল) টিউলিপের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিট পরীক্ষা করে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার বিচারকদের কাছে টিউলিপ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়।
রবিবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারকরা ৪২ বছর বয়সী এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিট পরীক্ষা করবেন।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার টিউলিপের খালা ও বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (৭৭) এর বিরুদ্ধেও একই দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (৫২) এর বিরুদ্ধেও একই শুনানিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এই মামলায় দুদক অভিযোগ করেছে, ব্রিটিশ এমপি হিসেবে তার প্রভাব খাটিয়ে টিউলিপ তার খালাকে (শেখ হাসিনা) বোঝান যেন তিনি ঢাকার অভিজাত একটি আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট বরাদ্দ দেন তার মা শেখ রেহানা (৬৯), ভাই রাদওয়ান (৪৪) এবং ছোট বোন আজমিনা (৩৪)-এর নামে। তাদের সবাই ব্রিটেনে বসবাস করেন।
টিউলিপ এবং তার পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুদক দাবি করেছে, টিউলিপের চাপের পর রাজধানীর উত্তর-পূর্বে পূর্বাচল নিউ টাউনে ৬২১৩ একর জমির আবাসিক প্রকল্পে টিউলিপের মা ও দুই ভাইবোনের নামে একটি করে প্লট বরাদ্দ দেন শেখ হাসিনা।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে, টিউলিপ সিদ্দিক পলাতক আসামি হিসেবে পরিগণিত হবেন এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তার প্রত্যার্পণ দাবি করতে পারবে, যাতে তাকে নিজ দেশে এনে আদালতের মুখোমুখি করা যায়।
এই মামলায় মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, যার মধ্যে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবারের ছয়জন সদস্য রয়েছেন।
টিউলিপ সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে। তবে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। শেখ হাসিনার পতনের আগে তিনি যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু ফ্ল্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে জানুয়ারিতে সিটি মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয় তাকে। দুদক তার বিরুদ্ধে প্রথম দুর্নীতি তদন্ত শুরু করলে, সেখানে অভিযোগ ছিল, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে রাশিয়া নির্মিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন।
অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিক এই অভিযোগগুলোও অস্বীকার করেছেন।
