নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের শ্রীরামপুর আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়। নিহতরা হলেন—কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী শেলী বেগম, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আনু, প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী রওশনারা আক্তার ইতি, জাহিদুলের শাশুড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতগাড়ি গ্রামের আঞ্জুমানয়ারা, শ্যালিকা গোলারদাইড় গ্রামের শুকুর আহমেদের স্ত্রী সীমা খাতুন এবং মাইক্রোবাস চালক ধর্মদহ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাহাবউদ্দিন সাবু।
নিহতদের স্বজনরা জানান, নবজাতক নাতি ও পুত্রবধুকে দেখতে সিরাজগঞ্জের কড্ডায় যাচ্ছিলেন জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা। পথে আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ট-২৪-৪৮৬৪) বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসটিকে (ঢাকা-মেট্রো-চ-১৬-৯৭৯২) ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান এবং তিনজন গুরুতর আহত হন।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জে জাহিদুলের ছেলে সোহানের স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছিল। নবজাতককে দেখতে যাওয়ার পথে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের সবাই প্রাণ হারান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, মাইক্রোবাসটি সঠিক লেনে থাকলেও ট্রাকটি রং লেনে চলে এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাক ও মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।