প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় স্ত্রী, দেখে ফেলায় স্বামীকে হত্যা
প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী, তারই ‘শাস্তি’ পেতে হলো যুবককে! ওড়না দিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্ত্রী। পরে প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে সেই মরদেহ দূরে নিয়ে ফেলে দেন নর্দমায়। এমনই অভিযোগ উঠেছে এক ইউটিউবার নারীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতোমধ্যে ওই নারী এবং তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে। পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী রাভিনা এবং প্রেমিক সুরেশের প্রথম পরিচয় হয় ইনস্টাগ্রামে। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এবং প্রায় দেড় বছর ধরে হরিয়ানার প্রেমনগরে একসঙ্গে শর্ট ভিডিও ও ডান্স রিল বানাতে শুরু করেন। এই সম্পর্কের ব্যাপারে রাভিনার স্বামী প্রবীণ ও তার পরিবার বারবার আপত্তি জানালেও রাভিনা থেমে থাকেননি।
রাভিনার ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৩৪ হাজার ফলোয়ার রয়েছে এবং ইউটিউবেও তার ভিডিওতে বিভিন্ন শিল্পীরা অংশ নিতেন। ভিডিও বানানো নিয়ে প্রবীণের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। তবুও রাভিনা ভিডিও কনটেন্ট বানানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় পরিবারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ছিলেন রবিনা। এ নিয়ে স্বামী প্রবীণের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত তার। সুরেশের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর - এই সন্দেহও দানা বেঁধেছিল প্রবীণের মনে। পরে তার আশঙ্কাই সত্যি হয়।
গত ২৫ মার্চ রাতে প্রবীণ নিজের স্ত্রী ও সুরেশকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, তখনই রাভিনা ও সুরেশ মিলে একটি ওড়না দিয়ে প্রবীণকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে তারা মৃতদেহ লুকানোর ফন্দি করে। খুনের পর গভীর রাত হওয়ার অপেক্ষা করেছিল তারা। এরপর মোটরসাইকেলে করে প্রবীণের দেহ নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে নর্দমায় ফেলে আসে তারা। ঘটনার তিনদিন পর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের তদন্তে ওই দিন রাতের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি হেলমেট পরে বাইক চালাচ্ছে, পেছনে মুখ ঢেকে বসে রয়েছে এক নারী, মাঝখানে একটি মরদেহ। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ওই নারী আবার একই বাইকে ফিরলেও মাঝখানে আর মরদেহটি ছিল না।
ফুটেজ দেখে রাভিনা ও তার প্রেমিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাদেরকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।