Times Today
অনুসন্ধান করতে টাইপ করুন
কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি

‘মনে রাখবেন, আমি কেবল সংখ্যা নই, গাজার এক লড়াকু মেয়ে’

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০
‘মনে রাখবেন, আমি কেবল সংখ্যা নই, গাজার এক লড়াকু মেয়ে’

‘একটা উইল লেখার কথা ভাবছি। মৃত্যুকে এত কাছে অনুভব করব বলে ভাবিনি কখনো। আমি সব সময় বলতাম, মৃত্যু হঠাৎ করেই আসে, কিন্তু কথাটা সেই অর্থে অনুভব করিনি কখনো। এই যুদ্ধে আমি সেটি অনুধাবন করেছি।’

কথাগুলো বলছিলেন দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা রুওয়াইদা আমির। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের রাগ-ক্ষোভ আর হতাশা ঝাড়েন তিনি। জানান দুঃখের কথা।

রুওয়াইদা বলেন, ‘এমনকি খারাপ কিছু হওয়ার আগেই আমরা তার ফল ভোগ করছি। যেমন—ধরুন, গাজায় এখনো হয়তো ভাগ্যবশত আপনার বাড়িটি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু যেকোনো সময় তা ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে—এই আতঙ্ক আপনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এই আতঙ্ক আমি আর নিতে পারছি না। যুদ্ধের শুরু থেকে, ইসরায়েলি সেনাদের আমাদের এত কাছে চলে আসার বিষয়টি আমি মেনেই নিতে পারছি না। যখন নেতজারিম করিডর থেকে ট্যাংকগুলো উপত্যকায় ঢুকল, আমার মনে পড়ে, আমি স্তম্ভিত হয়ে আমার সব বন্ধুকে মেসেজ পাঠিয়েছিলাম, “ওরা কীভাবে গাজায় ঢুকল? আমি কি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি!”’

রুওয়াইদা জানান, এবারের মতো ভয়াবহতা আগে কখনো দেখেননি। বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা সরে গিয়ে গাজা কবে আবার আগের মতো হবে, সেই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু তারা আমার আরও কাছে চলে এসেছে। আমি খান ইউনিসের পূর্বে এবং রাফাহর উত্তরে আল ফুখারিতে থাকি। মূলত এখানে খান ইউনিস শেষ হয়ে রাফাহ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা আমার বাড়ির খুব কাছে অবস্থান করছে। সব সময় ভয়ংকর বিস্ফোরণের শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমার আগের সব অভিজ্ঞতাকে হার মানাচ্ছে এবারের যুদ্ধের ভয়াবহতা।’

আতঙ্ক প্রকাশ করে রুওয়াইদা জানান, তিনি শুধু একটি সংখ্যা হিসেবে পরিগণিত হতে চান না। বলেন, ‘আমি শুধু একটা নম্বর হতে চাই না। যখনই কোনো শহীদকে “অজ্ঞাত ব্যক্তি” বলে সম্বোধন করা হয়, আমার হৃদয় কেঁদে ওঠে! কারও কারও এত বীভৎস মৃত্যু হয়েছে যে, তাদের চেহারাও চেনা যায় না, কারও তো চেহারা পাওয়াও যায় না, শুধু হাত বা পা কিংবা অন্য কোনো অঙ্গ ছাড়া। আমার সঙ্গেও কি তেমন কিছু হবে! মৃত্যুর পর কি আমাকে কেবল “কালো অথবা নীল জামা পরা এক তরুণী” বলে সম্বোধন করা হবে! আমি শুধুই একটা সংখ্যা হিসেবে পরিচিত হব!’

রুওয়াইদা আরও বলেন, ‘আমি চাই, আমার আশপাশের সবাই আমার গল্প মনে রাখুক। আমি শুধু একটি সংখ্যা নই। আমি সেই মেয়ে, যে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতেও পড়াশোনা শেষ করেছে। গাজা তখন অত্যন্ত কঠোর অবরোধের মধ্যে ছিল। ওই পরিস্থিতিতেই পড়া শেষ করে চারবার চাকরি হারানো অসহায় বাবাকে সাহায্য করতে মরিয়া এক মেয়ে আমি। আমি আমার পরিবারের বড় মেয়ে এবং আমার পরিবার যাতে একটা ভালো ও সুন্দর ঘরে থাকতে পারে, তার জন্য আমি উপার্জন করার চেষ্টা করছিলাম। এসবের কোনো কিছু কেউ ভুলুক, আমি চাই না।’

অতীত স্মরণ করে গাজার এই বাসিন্দা বলেন, ‘আমি একজন শরণার্থী। আমার পরদাদাও শরণার্থী ছিলেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখলদারত্বে ভিটে-মাটিছাড়া হয়েছিলেন তিনি। গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে এক শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। আমি সেখানেই জন্মেছি। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা সেখানে আমাকে থাকতে দেয়নি। ২০০০ সালে আমাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় তারা। দুই বছর আমাদের মাথার ওপর কোনো ছাদ ছিল না। এক শরণার্থীশিবির থেকে আরেকটিতে ঘুরে বেড়িয়েছি।’

পরে, ২০০৩ সালে আল ফুখারিতে রুওয়াইদদের একটি বাড়ি দেয় ইউএনআরডব্লিউএ। ইউরোপীয় হাসপাতালের পাশে ইউরোপীয় আবাসন নামে পরিচিত একটা এলাকায় চারপাশে কৃষিজমি ঘেরা একটি বাড়ি পান তাঁরা। পাঁচ সদস্যের পরিবার হওয়ায় তাঁদের প্রয়োজন হয় আরও একটি অতিরিক্ত ঘর, একটি বসার ঘর, রান্নাঘরটারও মেরামত প্রয়োজন পড়ে; যা তাঁর বাবার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ২০১৫ সালে বাবাকে সাহায্য করার জন্য উপার্জন শুরু করেন রুওয়াইদা। ২০২৩ সালে শেষ হয় তাঁদের বাড়ির সংস্কারকাজ।

এর ঠিক তিন মাস পর অক্টোবরের ৭ তারিখে উপত্যকায় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল। রুওয়াইদা বলেন, ‘১০ বছর ধরে তিলে তিলে যে বাড়িটা আমরা তৈরি করেছি, আমাদের সেই স্বপ্নের বাড়িটা এখন যেকোনো সময় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এটা ভাবলেই প্রচণ্ড রাগ-ক্ষোভ-কষ্ট হয়। যুদ্ধের পর থেকে একের পর এক লড়াই করে যেতে হচ্ছে আমাদের। বেঁচে থাকার জন্য লড়াই, ক্ষুধা-তৃষ্ণায় টিকে থাকার লড়াই, যা দেখতে-সইতে হচ্ছে, প্রতিদিন সেই ভয়াবহতায় নিজেকে প্রকৃতিস্থ রাখার লড়াই। এত কিছুর পর আমি কেবল একটি সংখ্যা হয়ে যেতে চাই না। আমি গাজার একজন সত্যিকারের মানুষ। আমাকে সবার মনে রাখতে হবে।’


তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষে চাইলেন তারেক রহমান

তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষে চাইলেন তারেক রহমান

বাহা'কে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড প্রদর্শন

বাহা'কে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড প্রদর্শন

সংসার ও স্বপ্নের ভার কাঁধে নিয়ে চা-কফি বিক্রি করে এগিয়ে চলেছে কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল

সংসার ও স্বপ্নের ভার কাঁধে নিয়ে চা-কফি বিক্রি করে এগিয়ে চলেছে কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল

জামালপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু

জামালপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু

বেরোবিতে দেয়ালে 'জয় বাংলা লেখা', অর্ধ মাসেও জমা পড়েনি প্রতিবেদন

বেরোবিতে দেয়ালে 'জয় বাংলা লেখা',  অর্ধ মাসেও জমা পড়েনি প্রতিবেদন

জীবননগরে নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু

জীবননগরে নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু

যে সন্তানের জন্য দুধ বানাতে চুলা ধরালেন মা, দগ্ধ হয়ে সে সন্তানের মৃত্যু

যে সন্তানের জন্য দুধ বানাতে চুলা ধরালেন মা, দগ্ধ হয়ে সে সন্তানের মৃত্যু

শহীদ মিনারে সমাবেশ ঘিরে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের দিকনির্দেশনা

শহীদ মিনারে সমাবেশ ঘিরে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের দিকনির্দেশনা

নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে, তবে গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি: নজরুল ইসলাম খান

গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে, তবে গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি: নজরুল ইসলাম খান

মহেশপুরে মানহানির অভিযোগ এনে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা সমন্বয়কের

মহেশপুরে মানহানির অভিযোগ এনে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা সমন্বয়কের

কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক দম্পতিকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক দম্পতিকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

রাবি'র প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাসেলকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

রাবি'র প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাসেলকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

বাংলাদেশে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ: একটি নীরব মানসিক রোগের রূপ

বাংলাদেশে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ: একটি নীরব মানসিক রোগের রূপ

নিবন্ধনের ঘাটতি পূরণে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির প্রতিনিধি দল

নিবন্ধনের ঘাটতি পূরণে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির প্রতিনিধি দল

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

সব খবর