গাজায় জাতিসংঘের ক্লিনিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৮০

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় আরও ৪১ জন নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনই উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, মধ্য ও দক্ষিণ গাজায়ও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। আল-নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে নির্বিচারে বিমান হামলা চলছে। খান ইউনিসের আশপাশের এলাকায়ও শোনা যাচ্ছে গোলাবর্ষণ বিকট আওয়াজ। ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারগুলো খুব নিচে দিয়ে উড়ে গিয়ে গাজার পশ্চিমে টহল দিচ্ছে এবং এলোপাতাড়ি হামলা চালাচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার গাজায় জাতিসংঘের ক্লিনিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ জনে। ক্লিনিকটিতে এমন হামলাকে বর্বরোচিত হিসেবে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।
আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এর আগেও গত ১৯ মার্চ এবং ২৩ মার্চ জাতিসংঘের অ্যাম্বুলেন্স, অন্যান্য যান এমনকি একটি ভবনেও হামলা চালিয়েছে। ১৯ মার্চে জাতিসংঘের ভবনটিতে ইসরায়েলি হামলায় সংস্থাটির একজন কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। অপর হামলায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন, যাদের একজন জাতিসংঘের এবং আটজন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী, বাকিরা ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স কর্মী।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের পুরোদস্তুর অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪০৮ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। ত্রাণকর্মীদের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা প্রধান গিলস মিশো বলেছেন, ‘ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার দায় কেউ নেয় না। আবার ভুল বলে এড়িয়ে যাওয়ার নজিরও আছে। এটা যেন ‘নিউ নরমাল’ (নতুন স্বাভাবিক অবস্থা) হয়ে উঠেছে, যা আবার সবাই মেনেও নিচ্ছে।’