“ন্যায্য শান্তিই আমাদের লক্ষ্য: জেলেনস্কি”

ইউক্রেনকে আর কখনোই ‘আপসের নামে চাপের মুখে পড়তে হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং দেশটি ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়।
গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি এ মন্তব্য করেন। আনাদোলুর খবরে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ চলার মধ্যেই এ অবস্থান জানালেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, “ইতিহাসে আর কখনোই ইউক্রেনকে সেই লজ্জা সহ্য করতে হবে না, যেটাকে রাশিয়ানরা ‘আপস’ বলে ডাকে। আমাদের প্রয়োজন ন্যায্য শান্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করব। বিশ্ব তা জানে এবং সম্মানও করে।”
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ স্বীকার করছে— কিয়েভ এখনো পুরোপুরি জয়ী হয়নি, তবে রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ইউক্রেন কোনোভাবেই পরাজিতও হয়নি।
তার ভাষায়, “ইউক্রেন কোনো ভুক্তভোগী নয়, বরং একটি যোদ্ধা। ইউক্রেন ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়। আমরা টেকসই, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন করব, কারণ আমরা শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাচ্ছি।”
জেলেনস্কি আরও জানান, “এটি শুধু আমাদের লক্ষ্য নয়—এটি আমাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার: শক্তিশালী ইউক্রেন, সমান মর্যাদার ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউক্রেন, স্বাধীন ইউক্রেন।”
এর আগে গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নতুন গতি পায়। পরে হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
এমন সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রোববার কিয়েভে পৌঁছান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যোগ দিতে। পশ্চিমা বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৯১ সালে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল কানাডা।
কার্নি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে এবং তাদের ইতিহাসের এই সংকটময় মুহূর্তে কানাডা ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা ও ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রচেষ্টা আরও জোরদার করছে।”
পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ইউক্রেনের প্রতি কানাডার সমর্থনকে “অটল” উল্লেখ করে বলেন, “আপনারা যখন সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই করছেন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে এগোচ্ছেন, কানাডা প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের পাশে আছে।”