টেসলার অনিয়ম ফাঁস করা নারী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জিতলেন

টেসলার অনিয়ম ফাঁস করা এক নারী ইলন মাস্ক এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে আদালতে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই আইনি যুদ্ধে অবশেষে তিনি জয়ী হয়েছেন।
২০১৪ সালে টেসলা গাড়ির ব্রেকিং ব্যবস্থায় সম্ভাব্য ত্রুটি নিয়ে নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করার পর প্রকৌশলী ক্রিস্টিনা বালান ওই কোম্পানির চাকরি হারান।
কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্রিস্টিনা মানহানির মামলা করেছিলেন। এক বিচারক সাধারণ মধ্যস্থতা বা আরবিট্রেশনে তাঁর মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আপিল আদালতের প্যানেল এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে ক্রিস্টিনার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
ক্রিস্টিনা জানান, এখন তিনি উন্মুক্ত আদালতে ইলন মাস্ক ও টেসলার মুখোমুখি দাঁড়াতে চান।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও সাড়া দেয়নি টেসলা।
ক্রিস্টিনা বালান মনে করেন, মামলাটি এখন কার্যত আবার শুরুর অবস্থায় ফিরে যাবে এবং নতুন করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, নতুন একটি মামলা শুরু করতে পারব এবং ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিচারকের সামনে লড়ার সুযোগ পাব।’
এই প্রকৌশলী একসময় টেসলায় এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন যে এস মডেলের গাড়ির ব্যাটারির ভেতরে তাঁর নামের আদ্যক্ষর খোদাই করা ছিল।
গত বছর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিনা বলেন, ছেলের মঙ্গলের জন্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ক্রিস্টিনা বালান আরও জানান, তিনি স্টেজ-থ্রি বি স্তন ক্যানসার থেকে সেরে উঠেছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় আশঙ্কা—তিনি হয়তো আদালতে নিজের চূড়ান্ত দিনটি দেখে যেতে পারবেন না।
ক্রিস্টিনা দাবি করেন, টেসলার কিছু মডেলের প্যাডালের নিচে মোড়ানো কার্পেট নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি, যা নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করেছিল।
ওই নারী প্রকৌশলী বলেন, টেসলার ব্যবস্থাপকেরা তাঁর এই উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা তাঁর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়ে ওঠেন। এর ফলে তিনি চাকরি হারান।
