যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ইঙ্গিত পুতিনের

যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার জন্য রাশিয়া প্রস্তুত আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমরা রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ইঙ্গিত দিলেও দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলা অব্যাহত আছে। পুতিন বলেছেন, রাশিয়া সর্বদা যে কোনও শান্তি উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখে আসছে। আমরা আশা করি, কিয়েভের শাসকগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও একইভাবে দেখবেন।’’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই মন্তব্যে ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বন্ধ এবং সরাসরি আলোচনায় বসার আগ্রহের ইঙ্গিত রয়েছে।এদিকে, আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিলেও মঙ্গলবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। জাপোরিঝিয়ায় একটি আবাসিক ভবনের অ্যাপার্টমেন্টে রুশ বাহিনীর হামলায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এই হামলায় চার শিশুসহ আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
কিয়েভের কর্তৃপক্ষ বলেছে, মঙ্গলবার দেশের পূর্বাঞ্চলের খারকিভে রুশ হামলায় কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। একই দিন দুপুরের দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ওডেসা, স্যামি, দোনেস্ক-সহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি এলাকাতেও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের গণমাধ্যমের খবরে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের খেরসনেও হামলার কথা জানানো হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, সোমবার রাতে ওডেসার একটি পাঁচতলা ভবনকে নিশানা বানিয়েছে রুশ বাহিনী। সেখানে হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব হামলাকে ‘‘ইচ্ছাকৃত রুশ সন্ত্রাস’’ হিসাবে অভিহিত করে বলেছেন, মাত্র একটি আদেশেই এই ধরনের হামলা বন্ধ করা যেতে পারে। তিনি ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে রাশিয়ার দূরপাল্লার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যে কোনও ধরনের হামলা ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবের জবাবেই পুতিন সোমবার সন্ধ্যায় সরাসরি আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনও আলোচনা হয়নি।