ঝিনাইদহে পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ’শ গজের মধ্যে গলায় ছুরি ধরে ছিনতাই

পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ’শ গজের মধ্যে গলায় ছুরি ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীরা আজমুল হোসেন নামে এক পথচারীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় লিটন সরদার নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে গ্রামবাসি পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামের হাওনঘাটা মাঠে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। লিটন সরদার পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের বজলুর রহমান সরদারের ছেলে। ছিনতাই শেষে একই গ্রামের হিরেণ সরদারের ছেলে সজিব সরদার ও ফনে সরদারের ছেলে সজিব সরদারসহ অজ্ঞাত এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায় বলে আটক লিটন পুলিশকে জানিয়েছে।
বংকিরা গ্রামের আব্দুর রশিদ গরি জানান, ঘটনার সময় চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ আক্কাস লেক ভিউ পার্কে কাজ শেষে তার জামাই আজমুল হোসেন বংকিরা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে পৌছালে চারজন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার গলায় ছুরি ধরে কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। বংকিরা গ্রামের কৃষক ডালিম মন্ডল মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার সময় ছিনতাইকারী লিটন সরদারের ব্যাগে ছুরি দেখে বংকিরা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই আলমগীরকে খবর দিলে তিনি তাকে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে। আটক লিটন সরদার ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন খবর নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বংকিরা গ্রামের মাঠ থেকে লিটন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। ছিনতাইকারীরা পার্শ্ববতী জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, পুলিশ তৎপর ছিল বলেই ছিনতাইয়ের পরপরই তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হবে। উল্লেখ ২০১৮ সালের ১৮ আগষ্ট একই স্থানে চিনে ফেলায় ঈদের রাতে সেনা সদস্য বংকিরা গ্রামের সাইফুল ইসলামকে ডাকাত দল হত্যা করে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ওই মামলায় খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক হত্যা মামলার আসামী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের আকিমুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমান ফনে, একই উপজেলার বোড়াই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান, আসাননগর গ্রামের আব্বাস আলী, একই গ্রামের আবুল কাশেম, ফারুক হোসেন এনায়েতপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন এবং চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া গ্রামের ডালিম মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন। ৭ বছর পর ঠিক একই স্থানে আবারো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো। এতে এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। তারা এলাকার সড়কগুলোতে নিয়মিত টহল জোরদার করার দাবী জানিয়েছেন।