৬০ দিন ধরে এসিসিই বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ, প্রশাসনের " নীরবতা "

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) অ্যাপ্লাইড কেমিক্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা কারিকুলাম পরিমার্জনের দাবিতে ৬০ দিন ধরে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। প্রসাশনের এমন উদানীন নীরবতায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন করে তারা দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের দুইজন শিক্ষকেরও অন্তর্ভুক্তি ছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রমজানের মধ্যেই সংশোধিত কারিকুলামের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি। পরে জানানো হয়, রমজান শেষে প্রথম সপ্তাহেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবশেষে গত ২১ এপ্রিল এসিসিই বিভাগ থেকে সংশোধিত কারিকুলাম ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অফিসে জমা দেওয়া হয় এবং তা বর্তমানে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৬ ব্যাচেরশিক্ষার্থী রিমি বলেন, “দীর্ঘ দুই মাস ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আমাদের শিক্ষা জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। আমরা চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনসহ ইউজিসিতে পাঠিয়ে আমাদের কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হোক।”
তারা আরও বলেন, “আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা আর না নেওয়া হোক। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হব।”