স্বাধীনতা দিবসের খাবারে অনাবাসিকদের বঞ্চিত, রাবি প্রশাসনকে স্মারকলিপি 'সোচ্চার'-এর

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ২৮ এপ্রিল হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এ আয়োজনে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও অনাবাসিকদের বাদ দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘সোচ্চার’ নামের একটি শিক্ষার্থী সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, উক্ত আয়োজনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করাটা স্পষ্ট বৈষম্য। যেখানে দিবসভিত্তিক আয়োজনের জন্য আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই সমান অর্থ নেওয়া হয়, সেখানে অনাবাসিকদের এমনভাবে বঞ্চিত করা ন্যায়সঙ্গত নয়। এটি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি একধরনের অবিচার।
সংগঠনটি দাবি জানিয়েছে, দিবসভিত্তিক যেকোনো আয়োজনে আবাসিক ও অনাবাসিক উভয় শিক্ষার্থীদের সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আবাসিক সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানায় তারা—যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আবাসিক সুবিধা পেতে পারে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যখন একজন শিক্ষার্থী কোনো বর্ষে ভর্তি (ইয়ার এডমিশন) হয়, তখন তার নিকট থেকে একাধিকবার ছাত্রকল্যাণ তহবিল, সংসদ ফি, খেলাধুলা ফি ইত্যাদি নেওয়া হয়। এই অনিয়ম অযৌক্তিক ও নিন্দনীয়।
‘সোচ্চার’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি এসব অনিয়ম পর্যালোচনা করে দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে ইয়ার এডমিশনের ফি যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ক্যাম্পাসের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন নির্যাতনের ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাহায্য করে থাকে।