চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলিতে দুজন নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নগর পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন: আবদুল্লাহ্ ও মানিক। সরোয়ার, হৃদয় ও রবিন নামে আরও তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, রাতে শাহ আমানত সেতুর পাশে বালুরমহাল থেকে প্রাইভেটকারে করে আসছিলেন পাঁচজন। এসময় চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জন এসে অতর্কিত গুলি করতে থাকেন। আধঘণ্টা ধরে প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ধাওয়া করা হয়। মোটরসাইকেল থেকে অনবরত ছোঁড়া গুলির মুখে একপর্যায়ে এক্সেস রোডের অপরপ্রান্ত চন্দনপুরায় এসে কারটি থেমে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা ৫ জনের মধ্যে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। আব্দুল্লাহ ও মানিককে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এ সময় কান্নায় ভারি হয়ে উঠে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
নিহত আব্দুল্লাহর স্ত্রী বলেন, ‘তাদের শত্রু আছে। আমার স্বামীর সঙ্গে আমি রাতে কথা বলেছি। একটা কাজে ছিল বলে আমাকে জানান তিনি। রাতে চলে আসার কথা ছিল। রাতে যখন আসেননি তখন আমি ফোন দেই। তখন তিনি জানান, সকালে চলে আসবেন। পরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে দুলাভাই কল দিয়ে জানালেন, আমার স্বামী নাকি মারা গেছেন। আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। মানিক গাড়ি চালিয়েছে।’
আহত হৃদয় বলেন,
আমরা বের হই রাত ২টায়। এরপর আমাদেরকে দৌড়ানো শুরু করেন হামলাকারীরা। আমাদের আধঘণ্টা ধরে দৌড়ায়। নতুন ব্রিজ থেকে শুরু করে বাকলিয়া থানা পর্যন্ত অস্ত্র নিয়ে ৪ থেকে ৫টা মোটরসাইকেলে করে হামলা চালানো হয়। এক থেকে দুইশো রাউন্ড গুলি চালানো হয়। আমাদের দুজন মারা গেছেন। দুজন আহত হয়েছি। তাদের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই আমাদের। কিন্তু তারা কেন এ হামলা চালালো, বলতে পারি না।
ঘটনাস্থলে এসে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে। নিহতদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।