রাজাপুরে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ, হামলার ঘটনায় উত্তেজনা

ঝালকাঠির রাজাপুরে পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক কৃষক পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার (২০জুন) সকাল ১০টায় রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক আব্বাস উদ্দীন হাওলাদার। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত আফসার উদ্দীনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস উদ্দীনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্বজন মো. রানা। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, আব্বাস উদ্দীনের পরিবারের পৈতৃক ও কবলাকৃত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার আত্মীয় মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার ও মাকসুদা বেগমের সাথে বিরোধ চলে আসছে। গত দুই মাস আগে প্রতিপক্ষ মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৯জুন) দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের লোকজন সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে বাদী ও বিবাদী দুইপক্ষের সাথে কথা বলেন।
অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় প্রতিপক্ষের পক্ষে মাকসুদা বেগমের মেয়ের জামাই অহিদ সাইফুল ও তার সঙ্গে থাকা সবুজ নামের একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দখলীয় সম্পত্তির সীমানার বেড়া ভেঙে ফেলে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে তারা আব্বাস উদ্দীনের চাচাতো ভাই সাইদুলকে মারধর করে এবং আরেক চাচাতো ভাই সিয়ামের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। সিয়াম বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার সময় অহিদ সাইফুল আব্বাস উদ্দীনের মেয়ে হাসিকে লাথি মারে এবং বাসার হাঁড়ি-পাতিল ভাঙচুর করে। ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন, অহিদ সাইফুল আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তার নামে পূর্বে ধর্ষণ মামলাও ছিল এবং সে কারাভোগ করেছে বলে দাবি করেন তারা।
অন্যদিকে অভিযুক্ত সাংবাদিক অহিদ সাইফুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ঘটনার সময় দেড়শ গজ দূরে থেকে ভিডিও ধারণ করছিলাম। তখন সাইদুল নামের একজন এসে আমার উপর হামলা চালায়। এরপর তারা মিলে আমাকে মারধর করে। এ ঘটনার ভিডিওও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসী।