সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে লেগুনা-সিএনজি সংঘর্ষে চালকসহ এক শিশু নিহত, আহত ৬

সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের গাগলী এলাকায় সিএনজি ও লেগুনানার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক ও সিএনজিতে থাকা এক ৪মাসের শিশু নিহত হয়েছে। নিহত সিএনজি চালকের নাম প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী (৩৫)। সিএনজিতে চম্পা বেগমের সাতে থাকা হুমায়রা তাবাসসুম (৪মাস)হুমায়রা তাবাসসুম দিরাই উপজেলার কাদিরচর গ্রামের হাসানের মেয়ে। এই ঘটনায় আরো ৮ যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে ছেড়ে আস লেগুনা বিপরীতমুখী সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিএনজির মুখোমুখি ও লেগুনা গাগলী গ্রামের আনজু মিয়ার বাড়ির সামনে আসলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় সিএনজিতে থাকা সিএনজি চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দোয়ারাবাজার উপজেলার ঢুলপশী গ্রামের প্রতুল রঞ্জন চক্রবর্তীর ছেলে সিএনজি চালক প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী (৩৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় দিরাই উপজেলার কাদিরপুর ধল গ্রামের হাসান আলীর চার মাস বয়সী কন্যা হুমায়রা তাবাসসুম।
আহত ৮জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন- দিরাই উপজেলার ভাঙ্গাডহর গ্রামের সারত দাসের ছেলে জ্যোতিষ দাস (২৬), একই উপজেলার সাদিরপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে হাসান (৩৫), কাদিরপুর ধল গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের মেয়ে সুফিয়া (১৮), শান্তিগঞ্জ উপজেলার বগলাখারা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩০), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়েজখালি গ্রামের মৃত শাহিদ মিয়ার ছেলে রুবেল (২৫), এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার আবরীপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে বাদল মিয়া (৪০)।
শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম আলী বলেন,"দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর একটি শিশু মারা যায়। এছাড়া ছয়জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘাতক যান দুটি জব্দ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"