চুরির অভিযোগ যুবলীগ নেতাকে বেধে মারধর

সুনামগঞ্জে চুরির অভিযোগে এক যুবককে রশি দিয়ে বেধে মারধর করা হয়েছে। পরে চুরির দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ওই যুবক। ওই যুবক যুবলীগ নেতা বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে গত রোববার এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, তাহিরপুরের ওই যুবকের নাম ইছা মিয়া (৩৫)। তিনি সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া খুঁটির সঙ্গে বাধা অবস্থায় ঘিরে থাকা মানুষদের হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছেন,‘আমার ঘরও মালটি আছে। মালটি আইন্যা দেই। আমারে একুট পানি খাওয়াও। তোমরা যা কও, আমি তাই রাজি। আমারে তোমরা আর মাইরো না, অত্যাচারটা কইর না।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধেরখলা হাজী এম এ জাহের উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার ( ৩১ মে) রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন গ্রামের লোকজন। তাকে রহিমের দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। তখন ইছা মিয়া চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ইছা মিয়ার পরিবারকে খবর দিলে তারা কেউ আসেননি। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ আরও কয়েকজন মুরব্বিকে ডেকে আনা হয়। ইছা মিয়া আর চুরির করবেন না জানিয়ে মুচলেকা রেখে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ বড়দল ইউপির সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ইছা মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই চুরির অভিযোগ আছে। গ্রামের রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনায় এলাকার যুবক পোলাপান তাকে ধরে এনে বেঁধে রাখে। পরে সে চুরির কথা স্বীকার করে এবং কিছু মালামাল বের করে দেয়। এরপর গ্রামের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে কাগজে মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইছা মিয়ার সংগঠনের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুক মিয়া বলেন,‘আমি ২০২০ সালে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। এখন কে আছে আর কে নাই, আমি জানি না।’
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাঁকে কেউ বিষয়টি জানায়নি বা চুরির বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে চোর সন্দেহে কাউকে এভাবে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বে-আইনী।