পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আবারও পুশ ইন, নারী-শিশুসহ ফেরত পাঠাল বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আবারও পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নারী ও শিশুসহ মোট ১৫ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া এবং অমরখানা ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে তাদের জোরপূর্বক পাঠানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪-এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে রাতের আঁধারে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপির সদস্যরা ১০ জনকে পুশ ইন করে। সকালে শিংরোড বিওপি’র টহল দল তাদের আটক করে। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে।
একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩-এর ৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা আরও ৫ জনকে পুশ ইন করে। এদের মধ্যে দুই নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে। সকালে অমরখানা বিওপি সদস্যরা স্থানীয় বোর্ড বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করেন।
আটককৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে ইতোমধ্যে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অমরখানা সীমান্তে আটক ৫ জনকেও থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান, বিজিবি থেকে হস্তান্তরকৃত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ৩ জন শিশু রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত দুই মাসে সাত দফায় নারী-শিশুসহ ১০১ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বিএসএফ। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। পুনরায় এ ধরনের ঘটনা ঘটায় সীমান্ত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক আলোচনার গুরুত্ব আবারও সামনে এসেছে।