লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের ইংরেজি শুনে চমকে গেলেন ট্রাম্প, প্রশ্ন করলেন— “ইংরেজি শিখলেন কোথায়?”

লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করতেই চমকে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি মুগ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসাও করলেন, “আপনি ইংরেজি শিখলেন কোথায়?” বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনা চলছে— ট্রাম্প জানতেনই না লাইবেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার হোয়াইট হাউসে আফ্রিকান দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প। লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই সেখানে বক্তব্য দিতে শুরু করলে ট্রাম্প তার ইংরেজির উচ্চারণ ও সাবলীলতা দেখে মন্তব্য করেন, “এত ভালো ইংরেজি আপনি শিখলেন কোথায়?”
বোয়াকাই তখন উত্তর দেন,
“লাইবেরিয়া থেকেই।”
এরপর ট্রাম্প বলেন, “এটা বেশ মজার। আমরা এখানে যারা বসে আছি, তাদের অনেকেই এত ভালো ইংরেজি বলতে পারেন না।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে বোয়াকাই হালকা হাসলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের এই অজ্ঞানতা শুধু বিব্রতকর নয়, আফ্রিকার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, লাইবেরিয়া হলো সেই আফ্রিকান দেশ, যা ১৮২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুক্তি পাওয়া আফ্রিকান-আমেরিকান দাসদের উপনিবেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় কিছু মার্কিন শ্বেতাঙ্গ মনে করতেন, দাসপ্রথা বিলুপ্ত হলে কৃষ্ণাঙ্গদের আলাদা জায়গা প্রয়োজন, সেই চিন্তা থেকেই গড়ে ওঠে লাইবেরিয়া। এজন্যই দেশটির সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক ভাষা শুরু থেকেই ইংরেজি।
বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন বোয়াকাই
আলোচনার শুরুতে বোয়াকাই ট্রাম্পকে বলেন, “লাইবেরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু। আমরা ‘আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার’ (Make America Great Again) নীতিকে সমর্থন করি। এই আলোচনার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”
এই বক্তব্যের পরই ট্রাম্প তার ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করেন, যা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রে।