পাকিস্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক কমিয়ে ১৯ শতাংশ করল ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর আগে এই হার ছিল ২৯ শতাংশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানসহ মোট ৬৯টি দেশ এখন থেকে নতুন শুল্ক কাঠামোর আওতায় পড়বে। এসব দেশের পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা কার্যকর হবে আগামী সপ্তাহ থেকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এই শুল্ক কাঠামোকে যুক্তরাষ্ট্রের “অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং বাণিজ্য ভারসাম্য পুনরুদ্ধার” এর অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তিনি এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
“যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শর্তে সাড়া দিয়েছে, তারা সুবিধা পেয়েছে”— ট্রাম্প
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়, “তালিকাভুক্ত কিছু বাণিজ্য অংশীদার আলোচনায় অংশ নিলেও, তারা এমন শর্ত দিয়েছে যা মার্কিন অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই তাদের জন্য শুল্ক ছাড় দেওয়ার সুযোগ সীমিত করা হয়েছে।”
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, তালিকায় না থাকা অন্যান্য দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
শাহবাজ শরিফের প্রশংসা, ‘একটি যুগান্তকারী চুক্তি’
শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “ওয়াশিংটনে ঐতিহাসিক মার্কিন-পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণে নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের স্থায়ী অংশীদারত্ব আরও গভীর হবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক হতে পারে, বিশেষ করে টেক্সটাইল ও কৃষিপণ্যের মার্কিন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকায় পাকিস্তান তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।