জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য শহীদ কল্যাণ সেল গড়ছে এনসিপি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য শহীদ কল্যাণ ও আহত সহায়তা সেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রোববার চট্টগ্রামে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি সবসময় থাকবে। ৫ আগস্টের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী। এটি সংবিধানে যুক্ত হলে গণ-অভ্যুত্থানের একটি আইনি স্বীকৃতি তৈরি হবে।”
তিনি জানান, সারাদেশে এনসিপির প্রতিনিধিরা শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে সরাসরি দেখা করছেন এবং তাদের অভিযোগ, অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয়তা শুনছেন। অনেক এলাকায় সরকারিভাবে সহায়তা পৌঁছালেও কিছু জায়গায় তা এখনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আপনাদের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি কারণ সেই অভ্যুত্থানে আমরা একসঙ্গে ছিলাম। শহীদরা শুধু কোনো দলের নয়, তারা দেশের শহীদ। তাদের সম্মান প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আমরা একটি নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে দেখছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, মাঠপর্যায়ে এখনও অনেক জায়গায় প্রশাসনের ভেতরে “স্বৈরাচারের দোসররা” সক্রিয়, যারা শহীদ পরিবারের প্রকৃত সম্মান ও সহায়তা পাওয়ার পথ রুদ্ধ করছে।
এনসিপি আহ্বায়ক জানান, দলের পক্ষ থেকে গঠিত “শহীদ কল্যাণ ও আহত সহায়তা সেল” এর মাধ্যমে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্থানীয় সংগঠনগুলোর সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
নাহিদ বলেন, “আমরা শুধু প্রতীকী সংহতিতে নয়, বাস্তব সহায়তা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য শহীদ পরিবারগুলোর চাহিদা ও সমস্যাগুলো নথিভুক্ত করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, ৩ আগস্ট ঢাকায় বড় পরিসরের একটি জাতীয় কর্মসূচি আয়োজিত হবে, যেখানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারকে আহ্বান জানানো হবে।
এ সময় চট্টগ্রামের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা রাঙামাটির উদ্দেশে যাত্রা করেন।