মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে মিছিল ও শোভাযাত্রা

দীর্ঘদিন পরে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দলের নির্ধারিত কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমানে সভা, সমাবেশ,মিছিল ও শোভাযাত্রা করছে পদ প্রত্যাশী প্রার্থীরা। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ডা. খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি পুনরায় কলেজের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে শতশত মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় ছাদখোলা গাড়িতে অংশগ্রহণ করে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হারুন অর রশিদ। শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সন্ধ্যায় উপজেলা চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল ও শোভাযাত্রায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাড়াও চুনখোলা ইউনিয়ন বিএনপির মো: বাদশা মিয়া, সাধারন সম্পাদক বাসু শেখ, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মাসুদ রানা, কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির মো: হেদায়েত উল্লাহ, গাওলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: কামরুল ফকির, কোদালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বি.এম নিজামুদ্দিন মিকু, আটজুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো:দুলাল মিয়া প্রমুখ।
এর আগে খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ চত্বরে এক পথসভা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হারুন অর রশিদ। বক্তারা বলেন, গতকালকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শেখ হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করেন। ওখানে মানববন্ধনকারীদের মধ্যে কোন মোল্লাহাটের লোক উপস্থিত ছিল না, হাফিজুর রহমানের রাজনীতির ইতিহাস দীর্ঘ ৪০ বছরের। তিনি একাধারে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, যুবদলের সভাপতি ও বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে পালন করেছেন। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। এই ধরনের নোংরা চর্চা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখুন, এটা হাফিজুর রহমানের নয় মোল্লাহাট বিএনপি'র বিরুদ্ধে একটি প্রচার, এসব নোংরামি না করে ভোটার দের কাছে যান, হাফিজুর রহমানকে পরাজয় করেই প্রমাণ করুন আপনারা জনপ্রিয়।
বক্তারা আরও বলেন, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা হারুন ও হাফিজের সাথে রয়েছে। নেতাকর্মীরা আমাদের ভাল বাসে।হাফিজুর রহমানকে হেও করে কোন লাভ নেই, তার ইতিহাস বিএনপির নেতাকর্মী ও মোল্লাহাটবাসী জানেন। আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন।
১৬ জুলাই বুধবার মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষীক সম্মেলন ও উপজেলা কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতক্ষ ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।