সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক জীবনে বিতর্ক: অবৈধ সরকারের সদস্য হিসেবে বিচার দাবি

বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ করলেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। তবে তার এই পদার্পণকে দেশের স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ সদস্য হিসেবে গণ্য করে কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশের বিভিন্ন মহল।
সাবেক বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক ও বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, “স্বৈরাচারের দোসর এবং অবৈধ সংসদের একজন এমপি হিসেবে সাকিব আল হাসানের বিচার রাষ্ট্রই করবে। যদি কেউ এই বিষয়টি ভুলে যায়, তাহলে শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি করবে।”
গত বছর জুলাইয়ের আগ থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি দেশে ফিরেননি। জনরোষের ভয়ে অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা হয়নি। ইতোমধ্যে তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে আদালত অবমাননার দায়ে কারাদণ্ডাদেশও রয়েছে।
আমিনুল হক এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, “সাকিব গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার সরকারের একজন এমপি হিসেবে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নিজের সুবিধার জন্য অবৈধ সংসদে যোগ দিয়েছেন। স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ।”
রাজনীতিতে প্রবেশের আগ্রহ সাকিবের পুরোনো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন, যদিও সে বছর নির্বাচিত হননি। কিন্তু ২০২৪ সালে মনোনয়ন পাওয়ার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
তবে তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ক্রীড়া ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময়ও তার বিতর্কিত মন্তব্য ও পোস্টে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।রুদ্ধে জনরোষ আরও বাড়িয়ে দেয়।