“ডু অর ডাই: নাহিদ ইসলামের চোখে জুলাই আন্দোলন— ‘বেঁচে থাকলে সরকার উৎখাত করব’”

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই আন্দোলন ছিল ‘ডু অর ডাই’—বেঁচে থাকলে সরকার উৎখাত করব, না হলে মরব। বাসসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।
প্রারম্ভিক ক্ষোভ ও অ্যাকশন ২০২৪-এর ৫ জুনের সেই কোর্টের রায়–এ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
২০২৪ সালের জুনে, একতরফা নির্বাচনের পর কোর্টের মাধ্যমে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হলে তা ছাত্র ও জনগণে হতাশার সৃষ্টি করে।
সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে শুরু করে তিন দিনের ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন এবং ৩০ জুন আল্টিমেটাম—শুরু বাঁধতে শুরু করে তীব্র আন্দোলনের।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন মিটিং ও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আন্দোলনের নেটওয়ার্ক তৈরি।
১ জুলাই “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” নামে কর্মসূচি শুরু হয়; ৪ জুলাই পর্যন্ত কার্যক্রম চলে।
১৪ জুলাই রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি; ৪ জুলাই কোর্ট কোনো রায় না দেওয়ায় বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।
১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ও পুলিশ আরও বর্বরভাবে অনুমতিবিহীন হামলা চালায়; নারীরাও নিশানা হয়।
ঢাকা মেডিকেল ও ঢাবি ক্যাম্পাসে আক্রমণ ও হত্যায় পরিস্থিতির তীব্রতা চূড়ান্ত হয়—প্রতিবাদ পায় সাধারণ জনগণও।
‘ডু অর ডাই’ সংকল্প ও শেষ পর্যায়
১৬ জুলাই শহীদ–মিনারে অংশগ্রহণ; ১৭ তারিখের গায়েবানা জানাজা।
১৭–১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও কারফিউনিরোধী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু।
সেন্টার থেকে লোকসভা সদস্যসহ সবাই জনগণের সঙ্গে শ্লথভাবে আন্দোলনে ফিরে আসে।
নাহিদ ও সহ-কর্মীরা ডিবিতে আটক হন, নগ্ন নির্যাতন সহ গুমের হুমকি পাওয়া যায়।
বাধ্যবাধকতার বাইরে ফেসবুক ভিডিও এ অধ্যাদেশ দিয়ে “আন্দোলন শেষ” বলে প্রচারণা চালানো হয়, যা জনগণ প্রত্যাখ্যান করে।
২১ তারিখে অভিযোগ, পাঠানো হয় পূর্বাচল থেকে, সেখানে ‘পাড়া বাড়ি’ হয়ে গিয়েছিল।
এরপর ডিবিকে অনশন ও ‘নীরব আন্দোলন’ চালিয়ে মুক্তি পাওয়া যায়; আগস্টেই বিভিন্ন পর্যায়ে ‘ঐতিহাসিক ঘোষণা’ আসে।
সেনাবাহিনী–জনতা সমর্থন ও সরকারের পতন
চলমান কারফিউয়ের মধ্যেই যুদ্ধবিরোধী পরিকল্পনা হয়; ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল।
সেনা জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং অবশেষে ১৬ দিনের স্বৈরাচারি শাসন পতিত হয়।
অগ্রণী মহান বিজয় মিছিলের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনর্বাসিত হয়।