এক ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম: নভেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে অতিরিক্ত সিম বন্ধ করবে বিটিআরসি!

দেশে একজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম নিবন্ধনের নতুন নীতিমালা কার্যকরের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদন পাওয়া এ সিদ্ধান্ত আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধাপে কার্যক্রম চালানো হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি নিবন্ধিত সিম রাখতে পারবেন একজন ব্যবহারকারী। যাঁদের নামে বর্তমানে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাঁদের সেসব অতিরিক্ত সিম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে তার আগে গ্রাহকদের স্বেচ্ছায় অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করার সুযোগ দেওয়া হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী বলেন, ভোগান্তি এড়াতে ধাপে ধাপে এ কাজ করা হবে। আগামী ১ আগস্ট থেকে গ্রাহকদের তিন মাস সময় দেওয়া হবে—নিজ উদ্যোগে ১০টির বেশি সিম থাকলে তা বাতিল করার জন্য।
এই সময়ের মধ্যে যাঁরা অতিরিক্ত সিম নিজে থেকে বাতিল করবেন না, তাঁদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ধাপে সেগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে ৫–৬ মাস সময় লাগতে পারে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর নামে থাকা ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের কমপক্ষে ৫টি সিম রয়েছে। ১০টির বেশি সিম রয়েছে মাত্র ৩.৪৫ শতাংশ গ্রাহকের নামে।
একজন ব্যবহারকারীর নামে কয়টি সিম আছে, তা জানা যাবে মোবাইলে *১৬০০১# ডায়াল করে। অতিরিক্ত সিম থাকলে গ্রাহক তা ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ এর মাধ্যমে অন্যের নামে নিবন্ধন করতে পারবেন।
অতিরিক্ত সিমের মধ্যে কোন ১০টি রাখা হবে, তা বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকবে বিটিআরসির নিয়োগকৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান। এতে সর্বশেষ ছয় মাসের রাজস্ব বিবেচনায় এনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিমগুলো রাখা হবে।
এমএফএস, ব্যাংকিং বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত সিমগুলোও চিহ্নিত করা হবে। প্রয়োজনে অপারেটরদের প্রাধান্যভিত্তিক তালিকাও বিবেচনায় আসবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় যদি কোনো গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিম বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তিনি অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার তা পুনরায় নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।