তারেক-জুবাইদার খালাসের পূর্ণ রায় প্রকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের সাক্ষরের পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৫২ পাতার এ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এ মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। তারেক রহমান ও জেবাইদা রহমানের করা আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি সাজার বিরুদ্ধে তার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারিক আদালত থেকে নথি তলব করা হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরে ওই মামলায় ২০২৩ সালে ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২ অক্টোবর ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।