আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ৬ মাস, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল বুলবুলের ২ মাসের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল ‘আদালত অবমাননা’ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেয়। প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, অভিযুক্তরা বিজ্ঞপ্তির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় এবং লিখিত ব্যাখ্যাও না দেওয়ায় শুনানির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আদালত এই পদক্ষেপ নেয়।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র–জনতার ‘গণঅভ্যুত্থান’ পরবর্তী এক বক্তব্যে শেখ হাসিনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অডিওটির ফরেনসিক পরীক্ষায় এর সত্যতা নিশ্চিত করে।
এরপর ৩০ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর আদালত অবমাননার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। অভিযোগ গৃহীত হলে ১৫ মে’র মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়, কিন্তু কোনো জবাব না আসায় তাদের ২৫ মে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবুও হাজির না হওয়ায় এবং ব্যাখ্যা না দেওয়ায় আদালত এই রায় দেন।
আদালত জানায়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষেও একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়, যদিও আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র খরচে আইনজীবী দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
রায় ঘোষণার পর এখন এই কারাদণ্ড কার্যকরের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। তবে আইন অনুযায়ী আসামিপক্ষ চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে।