পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ‘সোনালি ব্যাগ’ বাজারে আসছে রোববার থেকে!

পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বহু প্রতীক্ষার পর বাজারে আসছে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ। আগামী রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এর বাজারজাত কার্যক্রম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাগগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে।
দেখতে পলিথিন, গুণে ভিন্ন:
চেহারায় একেবারে প্রচলিত পলিথিন ব্যাগের মতো হালকা ও টেকসই হলেও সোনালি ব্যাগ আসলে সম্পূর্ণ আলাদা। মাটিতে ফেললে এই ব্যাগ দ্রুত মিশে যায়, ফলে পরিবেশে সৃষ্টি করে না কোনো দূষণ। পাশাপাশি একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় এটি আরও কার্যকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবান্ধব পলিথিনের বিকল্পের খোঁজে থাকা দেশবাসীর জন্য এটি একটি বড় সাফল্য।
এক দশকের প্রচেষ্টার ফসল:
২০১৬ সালে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোবারক আহমদ খান প্রথমবারের মতো পাট থেকে সেলুলোজ প্রক্রিয়াজাত করে এই ব্যাগ আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তিনি বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়ে কাজ চালিয়ে যান।
২০১৭ সালের ১২ মে বিজেএমসির উদ্যোগে পচনশীল সোনালি ব্যাগ তৈরির পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। রাজধানীর ডেমরার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লিমিটেডে স্থাপন করা হয় উৎপাদন প্ল্যান্ট। সেখানে প্রথমে মেশিনে পাটের সেলুলোজ থেকে শিট তৈরি করা হয় এবং পরে হাতে সেলাই করে ব্যাগ উৎপাদন শুরু হয়।
তবে নানা জটিলতা ও বাধার কারণে এতদিন প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি।
অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে এবার বাজারে আসছে সোনালি ব্যাগ। সরকারের আশা, এই পরিবেশবান্ধব ব্যাগ দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে এবং ধীরে ধীরে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে জায়গা করে নেবে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, সোনালি ব্যাগ যদি বড় পরিসরে ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, তবে নগর জীবনের অন্যতম দূষণ—পলিথিন ব