চন্দ্রনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা ও সংস্কারের বিষয়ে উপদেষ্টাদের বৈঠক!

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথধাম (কাঞ্চননাথ-চন্দ্রনাথ-আদিনাথ) স্রাইন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় রেলভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে স্রাইন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, গত পাঁচ বছর ধরে মন্দিরের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে এবং সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৈঠকে জানিয়েছেন, মাঠ প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তিনি চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোন করে পাহাড়ের উপর অবস্থিত মন্দিরে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় সিঁড়ি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্রাইন কমিটির সভাপতি অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “সিঁড়ি এখন ভালো অবস্থায় নেই। দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে অন্তবর্তী সরকার সবার জন্য বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে কাজ করছে।”
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, “অন্য ধর্মের স্থাপনার ওপর যারা আক্রমণ করে তারা ধার্মিক হতে পারে না। এটি অপরাধ। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের কোনো চেষ্টা হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুরোধ, নায্য দাবি-দাওয়াগুলো মন্ত্রণালয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে পাঠান, আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”
রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “চন্দ্রনাথ মন্দিরের সঙ্গে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো উসকানিমূলক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। কোনো উসকানির চিহ্ন দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”