জুলাই হত্যাকারীদের পালিয়ে যাওয়া নিয়েও বিচারের দাবি তুললেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং নির্দেশদাতারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো, সেটিও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, "জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থকেরা এখনো নানা সেক্টরে রয়ে গেছে বলেই খুনিরা পালিয়ে যেতে পেরেছে। যদি তারা না থাকত, তাহলে খুনিরা এত সহজে পালিয়ে যেতে পারত না।"
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার: আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ শীর্ষক এক আয়োজনে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি ছিল জুলাই পুনর্জাগরণ কর্মসূচির অংশ, যা আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল বিচার করবে এবং রায় দেবে। কিন্তু মূল অভিযুক্তেরা যখন বিচারের মুখোমুখি হতে পারবে না, তখন বিচার প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
তিনি বলেন, "গ্রেপ্তার-বাণিজ্য ও মামলা-বাণিজ্য এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন না এলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও সম্ভব হবে না। জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে হলে দলীয় স্বার্থ ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করতে হবে।"
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে জানান, জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নির্দেশদাতাদের একটি বড় অংশের বিচার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে ৩ আগস্ট।
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাগত বক্তব্য দেন। পরে ‘ট্রায়াল অব জুলাই কার্নেজ’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের এবং রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।