টঙ্গীতে খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ ফারিয়া তাসনিমের মরদেহ তিন দিন পর উদ্ধার

গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতির (৩২) মরদেহ তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচূড়া বিলে অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন।
ফারিয়া তাসনিম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম উল্লাহ আহমেদের মেয়ে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং কর্মসূত্রে টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে এসেছিলেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহিন আলম জানান, যে ড্রেনে তিনি পড়ে যান, সেই ড্রেনের পানি শালিকচূড়া বিলে গিয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রবল স্রোতে তাঁর মরদেহ বিল পর্যন্ত পৌঁছায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৬ জুলাই) রাতে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনের একটি খোলা ড্রেন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত তিনি পড়ে যান। সেখান থেকে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তিন দিন পর আজ সকালে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ড্রেনের ওপর কোনো ঢাকনা ছিল না, এমনকি ছিল না কোনো সতর্কতামূলক চিহ্নও। তারা সিটি করপোরেশন ও বিআরটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তোলেন।
নিহতের বড় ভাই মো. শোভন বলেন, “বোনের মোবাইল বন্ধ থাকায় চিন্তায় পড়ে যাই। পরদিন সকালে ঘটনাস্থলে এসে বোনের ব্যবহৃত জুতা দেখে নিশ্চিত হই, তিনিই সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।”
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ফারিয়া তাসনিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”