মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আরও ১ জনের মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ৩৫!

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মাসুমা (৩২)। শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জারিফ নামের এক শিক্ষার্থীও মৃত্যুবরণ করেন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে—যাদের অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া শিশু।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখনও ৪০ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তারা সবাই আইসিইউতে আছেন বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন।
তিনি গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে জরুরি বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এখন মোট ৪০ জন ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল, আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সিপিআর ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১০ জন, পোস্ট-অপারেটিভ ইন্টারমিডিয়েট অবস্থায় ১০ জন এবং ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫ জন।”
গত ২১ জুলাই সোমবার দুপুরে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার সময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ধোঁয়ার ঘনচাপে অজ্ঞান হয়ে যান, অনেকেই দগ্ধ হন।
এই ঘটনা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু—যা জাতীয় শোক ও তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে বিমান বাহিনী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।