রাসেল হত্যা ও ফরহাদ হত্যাচেষ্টা মামলায় ইনু-পলক-মমতাজকে গ্রেফতার

আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালে নিহত রাসেল গাজী হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া একই এলাকায় সংঘটিত ফরহাদ হোসেন হত্যাচেষ্টা মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ এ আদেশ দেন। দিনভর শুনানি শেষে আদালত এই তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতার আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন গত ২০ জুলাই ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে গ্রেফতার আবেদন দাখিল করেন। আর মমতাজের বিষয়ে গত ৫ জুলাই একই থানার এসআই মদন চন্দ্র সাহা গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানান। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে, শুনানি শেষে বিচারক গ্রেফতার দেখানোর আদেশ প্রদান করেন।
পলক ও ইনুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মো. রাসেল গাজী (২৭)। সকাল ১১টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টায় মারা যান। এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় পলককে ৪ নম্বর এবং ইনুকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়।
অন্যদিকে, মমতাজের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৪ আগস্ট আশুলিয়ায় থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন ফরহাদ হোসেন নামের এক আন্দোলনকারী। ওই কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলককে, ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে এবং চলতি বছরের ১৩ মে মমতাজ বেগমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। এই মামলার প্রেক্ষাপট রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।”