অর্থ আত্মসাতের মামলায় আবুল বারকাতের জামিন নামঞ্জুর!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে তার রিমান্ড শুনানির জন্য মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে এ আদেশ দেন।
আদালতে হাজির করা হলে আবুল বারকাতকে হাজতখানায় রাখা হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুর ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে এননটেক্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সুপ্রভা স্পিনিং মিলসের ঋণ আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুসরণ করে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। ড. বারকাত কোনো অবহেলা বা নীতিমালা ভঙ্গ করেননি। এছাড়া, একই বিষয়ে দুদক পূর্বে অনুসন্ধান করে ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। তাই নতুন মামলা করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
অন্যদিকে, দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কর্মচারীদের কোনো অপরাধের দায় তাঁকেই নিতে হবে। মামলায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে। তাই জামিন দেওয়ার কঠোর বিরোধিতা করেন তিনি।
শুনানি শেষে আদালত আবুল বারকাতের জামিন আবেদন খারিজ করেন এবং মামলাটি তিন দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য সিএমএম আদালতে প্রেরণ করেন।
এমনি অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদক ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় বলা হয়, সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও আবুল বারকাত জালিয়াতির মাধ্যমে এননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ক্ষতি করেছেন।