"চার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টার"
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি স্বস্তির অনুভূতি তৈরি হয়। তিনি মনে করেন, এই ঐক্য দৃশ্যমান হলে জনগণের আস্থা বাড়বে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ আরও সুগম হবে।
গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে নিজের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেটা আরও বেশি দৃশ্যমান হলে ভালো হয়। আপনারা যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো প্রশ্নে কিংবা গঠনমূলক কোনো কর্মসূচিতে একসঙ্গে থাকেন এবং সেটা যদি মানুষ দেখে, তাহলে মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তি তৈরি হবে। এতে অনেকেই খুশি হবে এবং দেশের মানুষও সেটাই চায়।”
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানান, “প্রধান উপদেষ্টা চারটি বড় রাজনৈতিক দলকে ডেকেছিলেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।”
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে তাদের মধ্যে কোনো মতভেদ বা দ্বন্দ্ব নেই। তারা বলেছে, রাজনীতির মাঠে প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে একে অপরের বিরুদ্ধে কথাবার্তা হতে পারে, কিন্তু তাতে ঐক্যে ফাটল ধরে না। বরং সবাই একমত যে ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় তাদের অবস্থান অভিন্ন।”
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে জানায়, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার যেন আরও কঠোর অবস্থানে যায়। পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নেওয়ার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
