“এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না নবীন সৈনিকরা”—বিজিবি ডিজি আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী

দেশের সীমান্ত রক্ষায় নবীন সৈনিকরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না- এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দেশের সীমান্ত রক্ষায় নবীন সৈনিকরা প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত—তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বায়তুল ইজ্জতের বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিজি বলেন, “নবীন সৈনিকেরা কখনো দেশবাসীকে হতাশ করবে না। তাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই মানুষের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করবে।”
তিনি সীমান্তে বিজিবির দায়িত্বের পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচারসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন।
আদর্শ সৈনিকের গুণাবলি অর্জনের তাগিদ
প্রশিক্ষণ শেষ করা নবীনদের উদ্দেশে ডিজি আশরাফুজ্জামান বলেন, “শৃঙ্খলা, সততা, বুদ্ধিমত্তা, আনুগত্য ও পেশাগত দক্ষতা—এই পাঁচটি গুণই একজন আদর্শ সৈনিকের মূল ভিত্তি। এগুলো অর্জন করেই তোমরা যোগ্য সৈনিক হয়ে উঠবে।”
নারী সৈনিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। আজকের নারী সৈনিকেরাও বিজিবির সম্মান ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণ
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণে কৃতিত্ব অর্জনকারী সৈনিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিজিবি মহাপরিচালক। পরে আকর্ষণীয় ট্রিক ড্রিল ও ব্যান্ড ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি। ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে ৬৯৪ জন রিক্রুট (পুরুষ ৬৫৮ জন, নারী ৩৬ জন) আনুষ্ঠানিকভাবে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করে।
অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।লেন।