উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের ৪৫ বছরের বৈষম্যের অবসান ও দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চান ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা

রোববার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ডিপ্লোমা মেডিকেল কেন্দ্রীয় পরিষদ, ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন ও ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের ৪৫ বছরের পেশাগত বৈষম্যের অবসান ও ন্যায্য চার দফা দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, চলমান স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপ-সহকারী চিকিৎসকদের পুরো পেশাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা বলেন, সংস্কার প্রস্তাবে ডিএমএফ ডিগ্রিধারীদের জন্য কার্যকর কোনো সুপারিশ নেই; বরং তাদের দীর্ঘদিনের অবদান ও পেশাগত ভবিষ্যৎ উপেক্ষিত হচ্ছে।
ডিপ্লোমা চিকিৎসক নেতারা বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বড় ভরসা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররাই। অথচ এক শ্রেণির প্রভাবশালী গোষ্ঠী এ পেশাকে ধ্বংস করতে চায়। সংস্কার কমিশনের খসড়া সুপারিশে এর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
তারা এমবিবিএস শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের কিছু অংশের চালানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হন। তাদের দাবি, চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ‘৬ মাসের কোর্স’ বলা হচ্ছে, যা অবিচার এবং ভুল ধারণা।
ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ভুঁইয়া বলেন, “আমরা চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স ও ছয় মাস ইন্টার্নিং সম্পন্ন করে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত। ১৯৮৭ সালের আইন অনুযায়ী বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসছি। কিন্তু ২০১০ সালে বিএমডিসির দুটি ধারার মাধ্যমে আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে রিট করেছি এবং রায় ১২ জুলাই আসছে।”
তিনি বঞ্চনার অভিযোগ এনে বলেন, “৩০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার। অথচ ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ৫ হাজার পদ শূন্য। তৃণমূল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রায়। অথচ কমিউনিটি হাসপাতালে মাত্র ৩ মাস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এইচএসসি ডিগ্রি পাস ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।”