গণতন্ত্রহীনতা ও অনিশ্চয়তায় অর্থনীতি অকার্যকর: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া উপেক্ষা করছে। এতে দেশ এক অনিশ্চিত পথে এগোচ্ছে, যেখানে বাজেট বা অর্থনৈতিক নীতি কোনোভাবেই কার্যকর হবে না। সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি বাজেটকে ‘ফ্যাসিস্ট ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য আমীর খসরু বলেনএই বাজেট আসলে অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের বাজেটের ধারাবাহিকতা মাত্র। নতুন কিছু নেই। প্রশ্নবিদ্ধ জিডিপির ওপর ভিত্তি করে বাজেট প্রণয়ন হচ্ছে, যেখানে দেশের বাস্তব অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বা বৈশ্বিক প্রভাবের কোনো চিন্তা নেই।
তিনি আরও বলেন,সরকার কতদিন থাকবে, নির্বাচন কবে হবে, এরপরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে—এই প্রশ্নগুলো আজ সাধারণ মানুষের মনে কাজ করছে। কিন্তু আমরা কোনো রাজনৈতিক নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। নির্বাচন বাদে সব কিছু করছে সরকার' গত ১৪–১৫ বছর ধরে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। সর্বশেষ গত জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল তার প্রমাণ। অথচ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে সরকার শুধু অর্থনীতি বা মানবিক করিডর নিয়ে কথা বলছে।"
অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ ও লুটপাটের অভিযোগ বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে লুটপাট বেড়েছে দাবি করে আমীর খসরু বলেন,আপনি যত নিয়ন্ত্রণ দেবেন, তত লুটপাট হবে। বাংলাদেশকে এখন ‘উই আর ওপেন ফর বিজনেস মডেলে যেতে হবে।
সহনশীল রাজনীতির ওপর গুরুত্ব সহনশীলতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তর সম্ভব নয়। দ্বিমত পোষণ করেও পথের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। না হলে সাংঘর্ষিক রাজনীতি ও অস্থিরতা থেকেই যাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ও সামাজিক অংশগ্রহণমূলক নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়।
সংলাপটি চলমান বাজেট বিতর্ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত অবস্থানকে ঘিরে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।