শাজাহান খান-পলক-মেয়র আতিকসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
অন্য যাদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়াল।
ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থানার আরিফ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে ১ দিন এবং ঢাবির ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ২ দিন রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকে ভাটারা থানার একটি হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক মেয়র আতিককে ভাটারা থানায় দায়ের করা মনির হোসাইন হত্যা মামলায় ২ দিন এবং যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মাদ্রাসা ছাত্র আরিফ হত্যা মামলায় ২ দিন রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার পারভেজ হত্যা মামলায় ওই থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে ৩ দিন ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে ২ দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, কোতোয়ালি ও ভাটারা থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার প্রত্যেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রিমান্ড ও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন তারিখে ও সময়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ও সাবেক সরকারের সহযোগিতাকারী সরকারি কর্মকর্তাদের আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।