দিনে-দুপুরে শরীরে ময়লা ছিটিয়ে ৪ লাখ টাকা চুরি, এআই প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ নগরীতে দিনে-দুপুরে শরীরে ময়লা ছিটিয়ে ৪ লাখ টাকা চুরির দুই বছর পর হান্নান মিয়া (৬২) নামে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়লে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত হান্নান মিয়া ঢাকা কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যার পর ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে হান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর ছোট বাজার এলাকার পূবালী ব্যাংক থেকে শামছুল আলম (৬৫) টাকা তুলে একই এলাকার জনতা ব্যাংকে লেনদেন করে। জনতা ব্যাংকে লেনদেন করার পর তার কাছে থাকা ৪ লাখ টাকা নিয়ে ছোট বাজার লিমা প্রিন্টিং প্রেসের সামনে মাত্রই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার কাপড়ে ময়লা ছিটিয়ে দেয় এবং তাদের একজন বলে আপনার কাপড়ে ময়লা কিসের? তখন শামসুল আলমের কাছে ব্যাগে থাকা ৪ লাখ টাকার ব্যাগ পাশে রেখে জামা কাপড় পরিষ্কার করা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ব্যাগসহ ৪ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে শামসুল আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী মযেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরে আদালতের নির্দেশে পিবিআই পুলিশ মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করে এসআই মোহাম্মদ বিল্লাল মিয়া মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
ময়মনসিংহ পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোরকে সনাক্ত করা কঠিন হচ্ছিলো। এমতাবস্তায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে চোরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার আসামীকে আদালতে তুলা হলে চুরির সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।