নেত্রকোণার কলমাকান্দায় কোটি টাকার তক্ষকসহ ৯ জন আটক

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় কোটি টাকার হাঁসপায়া তক্ষকসহ (Gekko Gecko) পাচারকালে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ জুন) ভোরে উপজেলার চিনাহালা মোড়ে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়, যা পাচারে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
আটককৃতরা হলেন—মো. শফিকুল ইসলাম (৫০), তানভীর হাসান (২৫), মো. শাকিল মিয়া (২৭), এসএম শিবলুর রহমান (৪৪), নুরুল ইসলাম (৪৩), আছমত আলী (৪৫), আব্দুল আজিজ (৬০), আব্দুল জলিল (৬৩) ও ফয়সাল (২৭)। তাদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি নরসিংদী জেলায় হলেও একজনের বাড়ি বরিশালে ও অন্যজনের বাড়ি মানিকগঞ্জে।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৬(১)/৩৪(খ) ধারায় একটি মামলা (নং-০৯, তারিখ: ১৫/০৬/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) মো. আবু হানিফার নেতৃত্বে কলমাকান্দা ইউনিয়নের চিনাহালা মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় একটি সন্দেহভাজন মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে একটি প্লাস্টিকের ঝুড়িতে রাখা কালো-খয়েরি রঙের একটি হাঁসপায়া তক্ষক উদ্ধার করা হয়। তবে গ্রেপ্তার হওয়া কেউই তক্ষক বহনের বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, আটককৃতরা আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের সদস্য হতে পারে। স্থানীয়ভাবে লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের আলম, খালেক ও সুমনের সহযোগিতায় তারা বন্যপ্রাণী শিকারে জড়িত থাকতে পারে বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে এই ধরনের তক্ষকের দাম কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত ওঠে। আর তাই এটিকে লক্ষ্য করেই অনেক চক্র অবৈধভাবে পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।