মুন্সীগঞ্জে এসএসসিতে চাম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাফল্য অর্জন

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার অন্যতম প্রাচীন ও স্বনামধন্য মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। পাশের হার, শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও সার্বিক মানদণ্ড বিবেচনায় সদর উপজেলায় বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এতে করে উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের অন্তর্গত চাম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর মোট ৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়, যা শতকরা ৮৫.৪১ ভাগ সফলতা। ফলাফল ঘোষণার পরপরই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে গর্ব ও সন্তুষ্টির আবহ দেখা যায়।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. হারুন বলেন, আমাদের এ বিদ্যালটিতে ভালো রেজাল্ট হয়েছে। আমরা অনেক খুশি, এলাকাবাসীও অনেক আনন্দিত। আমরা শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক প্রত্যাশা করছি। সহ- প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সংযোজন এবং শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা যুগোপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে পারে। বিদ্যালয়ের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের খবরে পঞ্চসার ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাইজু আক্তার বলেন, আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর দিকে আলাদা নজর দিয়েছি। শিক্ষকদের নিয়মিত পরিশ্রম, অভিভাবক-পরিচালনা পরিষদের সহযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠার ফলেই এ সাফল্য এসেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়া।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭০ সালে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। শিক্ষা, নৈতিকতা ও নেতৃত্ব গঠনে বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এবারের ফলাফল সেই ধারাবাহিকতারই প্রমাণ। আমরা ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এ সাফল্যে শুধু বিদ্যালয় নয়, পুরো এলাকায় এক ধরনের শিক্ষাবান্ধব উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। চাম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয় যেন আগামীতেও এমন সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে, সেই প্রত্যাশাই সকলের।