নোয়াখালী সদরে এডিপি প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিরোধ, ছাত্রদল নেতা মারধরের শিকার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এডিপির প্রকল্পের আওতায় সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান (৩১) মারধরের শিকার হয়েছেন। হামলায় তার মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মিজানুর রহমান কালাদরাপ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এবং উপজেলার সল্যাডগী এলাকার বাসিন্দা আবু জাকেরের ছেলে। শুক্রবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম শুল্যাকিয়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, এডিপির আওতায় ১১১ মিটার দীর্ঘ এইচবিবি (হেরিং বোন বন্ড) ইট সলিং সড়কের কাজ তিনি তদারকি করছিলেন। কিন্তু সড়কটি ইট সলিং হলে আর পাকা হবে না—এই অভিযোগ তুলে আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি কাজে বাধা দেন।
এ সময় মিজানুর ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আবুল খায়ের, রিয়াজ, মেহরাজ, বেলাল ও আজাদসহ কয়েকজন মিলে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল খায়েরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম বলেন,আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহত ছাত্রদল নেতাকে দেখে এসেছি। তবে কী নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছিল তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন ইটের মান নিয়ে মতবিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাটি এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করেছে। তবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।